পেশা হিসেবে ব্লগিং করা উচিত – Its Bangla Tech

 

পেশা হিসেবে ব্লগিং


পেশা হিসেবে ব্লগিং করা উচিত? ব্লগিং করে কি আমরা জীবীকা নির্বাহ করতে পারবো?কিংবা অন্য সকল চাকরি কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে ব্লগিং করা আমাদের জন্য বেশি লাভজনক হবে?এই সকল বিষয় চুল-ছেঁড়া আলোচনা করবো আজকের আর্টিকেলে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো। শুরুতেই বলে রাখি আমি সম্পূর্ণ আমার নিজের অভিজ্ঞতা এবং নিজের ধারণা থেকে বলার চেষ্টা করবো। তাই কোনো পয়েন্টে যদি আপনার দ্বিমত থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। চলুন শুরু করি৷

পেশা হিসেবে ব্লগিং
পেশা হিসেবে ব্লগিং

আমি প্রথমেই যেই বিষয়টি নিয়ে বলতে চাই সেটা হলো ভাষা। অর্থাৎ আপনি কোন ভাষায় ব্লগিং করেন বা আপনি কোন দেশকে টার্গেট করে কন্টেন্ট প্রকাশ করেন সেটার দিকে লক্ষ করা। কারণ হচ্ছে আমরা যারা বাংলা বা হিন্দি ভাষায় ব্লগিং করি আমাদের সিপিসি অনেক কম থাকে যা দিয়ে কোনো ভাবে লাইফ লিড করা যায় না বলে মনে করি। তবে যাদের কিনা ভালো Social Network / Branding আছে তারা চাইলে খুব সহজেই বাংলা ভাষায় ব্লগিং পেশা হিসেবে নিতে পারেন। ভালো Social Network / Branding কি?আপনার ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম,টুইটার,ইউটিউব ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে আপনার ভালো Engagement থাকতে হবে।

উদাহরণ সরূপ আমরা প্রথমআলো কে ধরতে পারি। প্রথমআলো যখন তাদের ফেইসবুক বা টুইটারে একটা আর্টিকেল শেয়ার করে তখন লক্ষ লক্ষ ট্রাফিক পেয়ে যায় এবং অর্গানিক ট্রাফিক তো আছেই। বাংলা ভাষায় ব্লগিং করলে আমরা সঠিক ডেটা পাই না। যেমন কোনো কিওয়ার্ড এর মাসিক সার্চ ভলিউম কতো কিংবা সিপিসি কতো ইত্যাদি। আমার সাজেশন থাকবে ব্লগিং কে পেশা হিসেবে নিতে চাইলে ইংরেজি নিয়ে ব্লগিং শুরু করেন পাশাপাশি একটা বাংলা সাইটেও হালকা পাতলা কাজ করলেন। যখন কিনা বাংলা কিওয়ার্ডে সিপিসি বাড়ে এবং সঠিক ডেটা পাওয়া যায় তখন আপনি বাংলা ভাষায়ও ব্লগিং পেশা হিসেবে নিতে পারবেন। এবার আসেন কেনো ইংরেজি নিয়ে ব্লগিং করবেন? কারণ হচ্ছে আপনি ইংরেজি কিওয়ার্ডে সকল ধরনের ডেটা পাবেন এবং সিপিসি অনেক বেশি।

আমরা যেহেতু ব্লগিংকে পেশা হিসেবে নিতে চাই সেহেতু আমাদের প্রয়োজন হবে অবশ্যই ভিজিটর বা ট্রাফিক।আমাদের ওয়েবসাইট যতদিন থাকবে আমরা ততদিন ট্রাফিক পেতে চাইলে আমি মনে করি আমাদের উচিত একটি নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। তাই আমাদেরকে এমন টপিক সিলেক্ট করতে হবে যেই টপিক নিয়ে মানুষ সারাজীবন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করবে।কাজেই আমাদেরকে খুব রিসার্চ করে একটি টপিক বের করতে হবে। আপনি রিসার্চ করার জন্য চাইলে অনেক পেইডটুল ব্যবহার করতে পারেন,কিংবা গুগলের নিজস্ব কিছু টুলস আছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি নির্দিষ্ট টপিক সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।গুগলের নির্দিষ্ট টুল বলতে যেমন- গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার,গুগল ট্রেন্ডস ইত্যাদি।

তারপর বলবো সার্চ ইঞ্জিনের সকল গাইডলাইন মেনে চলা। দিনশেষে আমাদের যেহেতু কাজ হচ্ছে ওয়েবসাইট এবং সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে সেহেতু আমাদের উচিত সকল সার্চ ইঞ্জিন গুলোর যে সকল রুলস রয়েছে সেসব কিছু অক্ষরে অক্ষরে পালন করা। আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন গুলোর নিয়ম না মেলে চলেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার ডোমেইনকে ব্লাকলিস্টে ফালিয়ে দিবে। যার ফলে আমাদের সেই ডোমেইন দিয়ে আমরা আর কখনোই Rank করতে পারবো না।

এখন আসা যাক মূল কথায়, পেশা হিসেবে ব্লগিং করা উচিত কি না? উপরের যেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এবং আনুুুসাঙ্গিক আরও কিছু বিষয় মেনে চললে আপনি ব্লগিং কে পেশা হিসেবে নিতে পারেন। তবে মনে রাখবেন অনলাইন জগতে ওঠানামা আছে। তাই ব্লগিং এর পাশাপাশি আপনি হাতে অপশন বি ও রেখে দিবেন। কিভাবে ব্লগিং শুরু করতে হয় জানতে চাইলে আর্টিকেল টি পড়তে পারেন।

বন্ধুরা এই ছিলো আমাদের আজকের আর্টিকেল। যদি আজকের আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।কমেন্ট করে জানাতে পারেন আপনার মতামত। এই রকম আরও গুরুত্বপূর্ণ টিপস এবং ট্রিকস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট আবারও ভিজিট করবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের সকল আপডেট পেতে আপনি চাইলে আমাদের ফেইসবুক পেইজের সাথে যুক্ত হতে পারেন।

Sharing Is Caring:

Leave a Comment