ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় – Its Bangla Tech

ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায়

ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় এই প্রশ্নটা অনেকের মাথায় ঘুরে তাই না? আজকে আমি আপনাদেরকে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো যে কিভাবে আপনি পারফেক্ট লি ব্লগিং শুরু করতে পারেন এবং আপনার ব্লগিং শুরু করার আগে আপনার কি কি প্রয়োজন এবং কি কি আপনার জানা থাকা লাগবে? পাশাপাশি আপনি যদি সেগুলোর না জানেন তাহলে কোন জায়গাতে থেকে শিখতে পারবেন সেটাও ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আশা করি বুঝতেই পারছেন আজকের আর্টিকেল টি কতো গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেল টি পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।

ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায়

ব্লগিং কি? 

আমাদের সর্বপ্রথম জানা প্রয়োজন ব্লগিং জিনিসটা আসলে কি?আমি আপনাদেরকে সহজে এবং আমার নিজের ভাষায় বুঝানোর চেষ্টা করবো। কাজেই কোনো  ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং কোথায় আমার ভুল হয়েছে সেটা ধরিয়ে দিবেন কমেন্ট বক্সে  ।  ব্লগিং হলো মূলত লেখালেখির কাজ। আপনার পছন্দের বিষয় বা আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সেই বিষয়ে আপনি মানুষকে জানানোর জন্য আপনার ওয়েবসাইটে লেখালেখি করবেন সেটাকে মূলত ব্লগিং বলা হয়।

ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায়?

 

এখন আমাদের কাঙ্ক্ষিত সেই প্রশ্নের উত্তর আমরা জানতে চলেছি ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় ? ব্লগিং শুরু করা যায় দুইভাবে একটি হলো প্রিমিয়াম ভাবে আরেকটি হলো ফ্রীতে। এখন অনেকেই বুঝতে পারেনা তারা কি ফ্রিতে ব্লগিং শুরু করবে নাকি পেইড ব্যাপার ব্লগিং শুরু করবে। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপর আপনার কাছে যদি পর্যাপ্ত টাকা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই পেইড ভাবে  ব্লগিং শুরু করতে পারেন আর আপনার কাছে যদি টাকা পয়সা কম থাকে তাহলে আপনি ফ্রিতেই শুরু করতে পারেন। আপনি যদি পেইড ভাবে ব্লগিং শুরু করতে চান তাহলে আপনার জন্য বেস্ট ওয়ে হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস আর

আপনি যদি ফ্রিতে ব্লগিং শুরু করতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হয় ব্লগার। এখন ব্লগারের ভিতরেও কিছু কথা আছে আপনি চাইলে ব্লগার এ কাস্টম ডোমেইন এড করে ব্লগিং করতে পারেন কিংবা আপনি চাইলে ব্লগার এর যেই কাস্টম ডোমেইন  blogspot.com রয়েছে সেটা দিয়েও আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন। আমার রিকমেন্ডেশন থাকবে আপনি একটা কাস্টম ডোমেইন এড করে ব্লগিং শুরু করা। আপনার কাছে যদি পর্যাপ্ত টাকা না থাকে তাহলে আপনি আপাতত একটি .xyz  ডোমেইন দিয়ে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। এবার আমরা জানার চেষ্টা করবো যে ব্লগিং শুরু করার জন্য আর কি কি জিনিস আমাদের জানতে হবে।

থিম কাস্টমাইজেশন করা

আপনি ব্লগার কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস যেটাই ব্যবহার করেন না কেনো আপনাকে অবশ্যই থিম কাস্টমাইজেশন জানতে হবে। কেননা আপনার ওয়েবসাইটের থিম ই হলো আপনার ওয়েবসাইটের মূল সৌন্দর্য। এই খানে এসে অনেকেই ভয় পেয়ে যেতে পারেন যে থিম কাস্টমাইজেশন তাহলে তো অবশ্যই কোডিং জানতে হবে। না ভাই, থিম কাস্টমাইজেশনের জন্য কোনো কোডিং জানতে হবে না। আপনি শুধু ড্রাগ এবং ড্রপ করে প্রফেশনাল লেবেলের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। পাশাপাশি আপনাকে হালকা কিছু ডিজাইের কাজ জানতে হবে। কারণ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য লোগো ফেবিকন আরও নানা ধরনের নকশা লাগতে পারে। ডিজাইনের কথা বলছি এতে কিন্তু আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হবে না, সামান্য ইডিটিং জানলেই হবে।

নিশ সিলেকশন / টপিক নির্ধারণ

আপনাকে ব্লগিং করার জন্য একটি নিশ নির্বাচন করতে হবে। নিশ হলো একটি টপিক বা সাবজেক্ট। আমি যদি আরও ক্লিয়ার করে বলতে চাই আপনি যেই বিষয়ে আপনার ওয়েবসাইটে লেখালেখি করবেন সেটা নির্ধারণ করা। এখন আপনি কোন বিষয়ে লেখালিখি করবেন?এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপর। আপনি যেই বিষয়ে এক্সপার্ট সেই বিষয়ে লিখতে পারেন। অনেকেই বলতে পারেন ভাই আমি কোনো বিষয়ে এক্সপার্ট  না, এটা আপনার মিথ্যা ধারণা। আমাদের প্রত্যেকের ভিতরে কিছু না কিছু প্রতিভা রয়েছে। আমাদের শুধুমাত্র সেই প্রতিভা টা খুঁজে বের করতে হবে।

কন্টেন্ট রাইটিং উইথ এস ই ও অপটিমাইজেশন

একটা ওয়েবসাইটের কিং হলো সেই ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট। তাই আপনাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে আপনার কনটেন্ট রাইটিং এর উপর। আপনাকে শুধু কন্টেন্ট লিখলেই হবে না কন্টেন্ট গুলো কে সঠিকভাবে এসইও অপটিমাইজ করতে হবে। এখন আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং কিংবা এস ই ও না জানেন তাহলে আপনাকে এগুলো শিখতেই হবে আপনি যদি এগুলা না শিখেন তাহলে আপনি ব্লগিং ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে পারবেন না আর আপনি যদি একান্তই না শিখতে চান তাহলে আপনাকে একজন কনটেন্ট রাইটার এবং এস ই ও এক্সপার্ট হায়ার করতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

এতো সময় ধরে শুধু বলেই গেলাম যে ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় কিংবা আপনার কি কি থাকা লাগবে। কিন্তু একবারও বলি নি আপনি কোন জায়গা থেকে এই বিষয় গুলো শিখতে পারবেন। এই বিষয়গুলো শিখার জন্য সবচেয়ে বেস্ট মাধ্যম হলো গুগল এবং ইউটিউব। আপনি যদি গুগল কিংবা ইউটিউব দেখে না বুঝতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন কোর্স করতে পারেন যেখানে এই বিষয়গুলো অনেক সহজে বুঝিয়ে দেওয়া আছে। আর আমরা আমাদের ব্লগিং টিপস এই লেবেলে শুধু ব্লগিং নিয়ে লিখে থাকি৷তাই আপনি চাইলে আমাদের এই লেবেলটি দেখতে পারেন।

আমাদের আজকের আর্টিকেল সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন , আমরা আপনার কমেন্টের রিপ্লে দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো । আবারও বলছি যদি কোনো জায়গায় ভুল করে থাকি তা ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ধন্যবাদ।

Sharing Is Caring:

Leave a Comment