নগদ একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত

আপনি হয়তো বেশ কিছু দিন ধরে নগদের কথা শুনে আসছেন। কিন্তু আপনি জানেন না নগদ আসলে কি?নগদ কিভাবে কাজ করে? কিংবা আপনি কেনো নগদ ব্যবহার করবেন? তাছাড়া নগদ ব্যবহার করলে কি কি সুযোগ সুবিধা আপনি পেতে পারেন এই সকল বিষয় আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এবং আপনাকে সবকিছু সহজে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাই আমি মনে করি এই লেখাটি আপনার জন্য অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।

নগদ একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত

সবার শুরুতেই জানি নগদ কি?নগদ হলো আমাদের বাংলাদেশের একটি ডিজিটাল ফিন্যান্সয়াল সার্ভিস। যা বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এর একটি পণ্য বা ডাক বিভাগ দ্বারা পরিচালনা হয়ে থাকে। তাই বলা যায় আমাদের দেশ তথা বাংলাদেশে যেসকল ফিন্যান্সয়াল সার্ভিস কোম্পানি রয়েছে তাদের মধ্যে নগদ সবচেয়ে বিশ্বস্ত। আমি কোনো ভাবেই বলছি না যে অন্যান্য মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানিগুলো বিশ্বস্ত নয়, তারাও অনেক বিশ্বস্ত। কিন্তু নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি পণ্য হওয়ার কারণে আমার কাছে বেশি বিশ্বস্ত মনে হয়।

এবার জানা যাক আপনি নগদ ব্যবহার করলে কি কি সুবিধা পাবেন? প্রথমত আপনি অবশ্যই জানেন যে সকল মোবাইল ফিনান্সিয়াল অ্যাপস গুলা বা কোম্পানিগুলোর সার্ভিসে আপনি ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ,  বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি পরিশোধ করতে পারেন। এখন প্রশ্নটা হচ্ছে বাংলাদেশে এতো ফিনান্সিয়াল কোম্পানি বা অ্যাপস থাকতে আপনি কেনো নগদ ব্যবহার করবেন?নগদ ব্যবহার করলে আপনি কি কোনো বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাবেন?

হ্যাঁ আপনি যদি নগদ ব্যবহার করেন তাহলে আপনি বেশ কিছু বিশেষ সুবিধা পাবেন। যেমন আপনি অন্যান্য ফিনান্সিয়াল সার্ভিস গুলো যদি দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন তারা এক হাজার টাকা ক্যাশ আউট করতে প্রায় বিশ টাকার মতো সার্ভিস চার্জ কাটে। কিন্তু আপনি যদি নগদ একাউন্ট ব্যবহার করে ক্যাশ আউট করেন তাহলে আপনার সার্ভিস চার্জ মাত্র নয় টাকার আশেপাশে টাকা কাটবে।যেটা খুব সুন্দর একটা পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।

তারপর সুযোগটি হলো নগদ একাউন্ট তৈরী করে নিয়ে। আপনি নগদ একাউন্টে লেনদেন করতে চাইলে আপনাকে সর্বপ্রথম নগদে একাউন্ট করতে হবে সেটা আপনি ভালো করেই জেনে থাকবেন। কিছুদিন আগ পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট করে তৈরি করতে হলে তাদের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসে যেতে হতো। তাদের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস থেকে ভোটার আইডি কার্ড, ছবি ইত্যাদি কাগজ পত্র প্রদান করে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট গুলো তৈরি করা লাগতো।

কিন্তু এখন নগদে এই কোনো ধরনের ঝামেলা নেই। আপনি শুধুমাত্র আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনে *167# ডায়াল করে এবং পাসওয়ার্ড সেট করার মাধ্যমে নগদ একাউন্ট তৈরী করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যেই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অনুসারে নগদ একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।এখন আপনি বলতে পারেন যে বিকাশ, রকেট ইত্যাদি ফিনান্সিয়াল একাউন্টিং ও তো এখন অনলাইনে ঘরে বসে করা যায় কিন্তু এই ধরনের সিস্টেম সর্বপ্রথম চালু করেছে নগদ।

তারপরের সুযোগটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়।কেননা আমাদের সরকার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উপবৃত্তি প্রদান করে থাকে বিশেষভাবে প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে। আগে সেই উপবৃত্তির টাকা ছাত্রছাত্রীরা উত্তোলন করতে অনেক ঝামেলায় পড়তো। কিন্তু এখন খুব সহজে নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা তাদের হাতে হাতে পৌঁছে যায় অল্প সময়ের মধ্যেই।এই সুযোগটি সেই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ হয়েছে যারা সাধারণত প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে বসবাস করে থাকে।

আপনি যদি আপনার জমা টাকা থেকে ইন্টারেস্ট পেতে চান তাহলে নগদ একাউন্ট হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট একটি চয়েজ। কেননা আপনি যদি নগদ একাউন্টে এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা এক বছর রাখেন তাহলে আপনি সেই টাকা থেকে পাঁচ পার্সেন্ট ইন্টারেস্ট পাবেন। এই ইন্টারেস্ট এর টাকা নগদ একাউন্টে যোগ হয়ে যাবে।এখন যদি আপনি একটু ধার্মিক টাইপের মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি চাইলে আপনার নগদ অ্যাপ থেকে ইসলামিক মুড অন করে রাখতে পারেন।তাহলে আর আপনার একাউন্টে কোনো ইন্টারেস্ট যোগ হবে না।

বন্ধুরা নগদ একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত না হলেও প্রচুর তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যদি এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এই রকম আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে আবারও ভ্রমণ করতে পারেন।

Sharing Is Caring:

Leave a Comment

Back
WhatsApp
Telegram
Skype
Messenger
Viber
Email