ড্রোন উড়ানোর আগে যা জানতে হবে

ড্রোন বর্তমানে সময়ে মানুষের এমনকি আপনার একটি আকর্ষণের বিষয়। ড্রোন কিনার পর আপনার মাথায় প্রথমেই আসে ড্রোন ফ্লাই করা বা উড়ানোর কথা।কিন্তু আপনি চাইলেই আপনার মনমতো ড্রোন ফ্লাই করতে পারবেন না। আপনার ড্রোন উড়ানোর আগে অবশ্যই কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।এই বিষয় গুলো যদি আপনি না মানেন তাহলে আপনি আপনার ড্রোন হারাতেও পারেন। ড্রোন উড়ানোর আগে কি কি বিষয় জানতে হবে না নিচে সহজ ভাষায় উল্লেখ করা হলো

ড্রোন বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সরকার থেকে ড্রোন উড্ডয়নের কিছু নীতিমালা করে দেওয়া হয়েছে যাকে বলা হয় সিএএবি(CAAB).এর পূর্ন রুপ হলো সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ(Civil Aviation Authority of Bangladesh).এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে এই অথরিটি মূলত কি?সিএএবি(CAAB) হলো এমন সংস্থা যা বাংলাদেশের আকাশে চলাচলকারী সকল উড়ন্ত যানবাহনকে সঠিকভাবে চলাচলে কাজ করে থাকে।আচ্ছা আপনাকে একটা প্রশ্ন করি? আপনি এতো দিন উড়ন্ত যানবাহন বলতে কি বোঝাতেন?অবশ্যই হেলিকপ্টার এবং উড়োজাহাজ বা বিমানকে জানতেন।কিন্তু ড্রোন ও একটি উড়ন্ত যানবাহন।

আশা করছি আপনি ড্রোনের খুটিনাটি বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন। যদি না জানেন তাহলে আগামী দিন এই ওয়েবসাইটে আসবেন আগামীদিন ড্রোনের বেসিক খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করা হবে। তাই ড্রোনের বেসিক জিনিসপত্র নিয়ে আজকে আর জানালাম না।চলে যাই টপিকে।এই যে আপনি একটা ড্রোন কিনলেন এখন ড্রোন’ উড়াতে উড়াতে আপনি কোন সীমাবদ্ধ জায়গায় চলে গেলেন ভাবে কোন অবৈধ কাজ করে ফেলেন এসব থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে জানতে হবে ড্রোন উড্ডয়ন নীতিমালা সম্পর্কে।

ড্রোন বাংলাদেশ

দ্যা ড্রোন রেজিষ্ট্রেশন ফ্লাইং গাইডলাইন অনুসারে ২০২০(The Drone Registration Flying Guideline 2020) অনুসারে চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে এই নীতিমালাকে৷চারটি ভাগের মধ্যে সর্বপ্রথম টি হচ্ছে বিনোদন মূলক ব্যবহার। বিনোদনের উদ্দেশ্য যেই ড্রোন ব্যবহার করা হয় সেইটা৷ অথবা আপনি বলতে পারেন বাচ্চারা খেলাধুলার জন্য যেসব ড্রোন ব্যবহার করে থাকে সেই ড্রেনগুলা বিনোদন মূলক ব্যবহার এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। তবে এই ক্ষেত্রেও বেশকিছু নিয়ম রয়েছে। এই ড্রোন গুলোর ওজন অবশ্যই পাঁচ কেজির কম হতে হবে আপনাকে অবশ্যই পাঁচশ ফুটের নিচে ড্রোন উড়াতে হবে। এই দুইটি ক্রাইটেরিয়া যদি আপনি এবং আপনার ড্রোন পালন করতে পারে তাহলে আপনার ড্রোন বিনোদন মূলক ব্যবহার এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হবে। এবং এইক্ষেত্রে তেমন কোনো পারমিশন লাগছে না৷

দ্বিতীয় হচ্ছে অবানিজ্যিক, ব্যক্তিগত ব্যবহার। এইক্ষেত্রে আপনি পাঁচ কেজি বা তার থেকে বেশি ওজনের ড্রোন উড়াতে পারবেন। আপনি চাইলে ড্রোন উড়িয়ে ছবি তুলতে পারেন কিংবা ভিডিও করতে পারবেন। এককথায় যেকোনো কারণে। কিন্তু এইক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই সিএএবি(CAAB) পারমিশন অর্থাৎ অনুমতি লাগবে। সিএএবি(CAAB) কি সেটা আমি প্রথমেই বলেছি।

তৃতীয় ক্ষেত্রটি হচ্ছে বানিজ্যিক ব্যবহার।বানিজ্যিক ব্যবহার বলতে যেকোনো কমার্শিয়াল বিষয়ে ড্রোন ব্যবহার করা হলে আপনার পারমিশন নেওয়ার প্রয়োজন হবে। সেটা হতে পারে টিভিসি,নাটক,শর্ট ফিল্ম,মুভি ইত্যাদি বিষয়ে।

চতুর্থ ক্ষেত্রটি হচ্ছে রাস্ট্রীয় বা সামরিক ব্যবহার৷কোনো একটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা সামরিক যেকোনো কাজে ব্যবহৃত ড্রোন এই ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত হবে।এইক্ষেত্রে আপনার-আমার কোনো পারমিশন এর প্রয়োজন হবে না।এর কারণ হলো আপনি আমি চাইলেও এই কাজটা করতে পারব না।অর্থাৎ আপনি যদি পাঁচ কেজির বেশি ওজনের ড্রোন’ ওড়াতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার পারমিশন এর প্রয়োজন হবে সেটা হতে পারে আপনার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য, সেটা হতে পারে আপনার বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য সেটা হতে পারে আপনার অবানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য।

এবার আপনার জানা উচিত সকল নিয়ম মেনে কিভাবে আপনি ড্রোন ফ্লাই করবেন। প্রথমত আপনার একটা লাইসেন্স থাকা লাগবে আর যদি আপনার লাইসেন্স না থাকে তাহলে আপনাকে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।আর এটাকে বলা হয় স্পেশাল ফ্লাইট অপারেশন সার্টিফিকেট৷ এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন এই সার্টিফিকেট আপনি কি কাজে ব্যবহার করবেন? ওয়েল,এটি আপনি পেশাগত কাজ যেমন ছবি তোলা বা ভিডিও গ্রাফি বা যেকোনো প্রকারের এডভারটাইজমেন্টের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।

তারপর যেই বিষয়টা আপনার জানা উচিত সেটা হলো ভিসিবিলিটি।এর মানে হল আপনি যে ড্রোনটা উড়াবেন সেই ড্রোনটা যেনো আপনার দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে থাকে কেননা আপনার ড্রোনটা যদি অন্য কারোর ব্যক্তিগত বিল্ডিংয়ে গিয়ে ক্রাশ করে তাহলে কিন্তু একটা গোপনীয়তার বিষয় রয়েছে আবার আইনগত জটিলতা সৃস্টি হতে পারে। এক কথায় আপনি ড্রোন এমন কোথাও উড়াবেন না যেনো আপনার ড্রোনকে খুঁজতে অন্য কাউকে ডাকতে না হয়।

তারপর নির্দেশিকায় বলা রয়েছে একজন ব্যক্তি একসাথে একাধিক ড্রোন ফ্লাই করতে পারবে না এবং যেই ব্যক্তি ড্রোন ফ্লাই করবে অবশ্যই তার বয়স আঠারো বছরের বেশি হতে হবে। এবং সেই ব্যক্তিকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে তার পাশাপাশি সবসময় ড্রোনকে কন্ট্রোল করতে হবে যাতে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনার কিছুটা হলেও এড়ানো সম্ভব হয়।

গাজী পাম্প ১ ঘোড়া

আপনি যদি কোনো কমার্শিয়াল কাজে ড্রোন ফ্লাই করতে চান সেই জায়গার নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন এবং ফায়ার সার্ভিসকে আগে থেকে জানিয়ে রাখবে কারন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটলেই যেনো তারা ইমিডিয়েটলি একশন গ্রহণ করতে পারে।

Sharing Is Caring:

Leave a Comment

Back
WhatsApp
Telegram
Skype
Messenger
Viber
Email